০৪ মে ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল দর্শনায় পৌর উদ্যোগে সড়কে পানি ছিটানো উদ্যোগ তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাড়ি শেষ
রাজধানীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাহাড়ি প্রাণের উৎসব বৈসাবি পালিত

রাজধানীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাহাড়ি প্রাণের উৎসব বৈসাবি পালিত

মো. রেজুয়ান খান

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ব্যাপক আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পাহাড়ি প্রাণের উৎসব বৈসাবি-২০২৪ পালিত হলো। রাজধানীতে বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে বৈসাবি উৎসবে অংশ নেয়। প্রতিবছর এ উৎসবের আয়োজনকারী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ বৈসাবি উৎসব র‌্যালিতে অংশ নেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মশিউর রহমান এনডিসি প্রধান অতিথি হিসেবে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবি র‌্যালিটি সকাল ৯ টায় ঢাকার বেইলি রোডে অবস্থিত শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র হতে শুরু হয়ে বেইলি রোড ও রমনা পার্কের ভিতর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পার্কের লেকের প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়। পরে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রমনা লেকের পানিতে নর-নারী ও শিশুরা ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হয়। রাজধানীতে বসবাসরত তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এ আনন্দঘন র‌্যালিতে অংশ নেন।

বৈসাবি উৎসবের শোভাযাত্রার উদ্বোধক ও রমনার জলে ফুল ভাসানো অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করার জন্য সকলে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব। সেখানে কোনো হানাহানি বিদ্বেষ থাকবে না। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব এবং সেই একই লক্ষ্যে মূল ধারার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

সচিব মশিউর রহমান এনডিসি আরও বলেন, পার্বত্য তিন জেলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করা এবং ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটানোসহ পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার একটি অন্যতম অংশ হলো এই ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব। এখানে তিন পার্বত্য জেলার ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতা ফুটে ওঠেছে। পার্বত্য অঞ্চলের ধর্মীয় ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠান এবং সংস্কৃতির অবস্থাকে তুলে ধরতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় রাজধানীতে প্রতি বছর ২৯শে চৈত্র পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে ঐতিহ্যবাহী এ বৈসাবি উৎসবের আয়োজন করে আসছে।

সচিব মশিউর রহমান এনডিসি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সামাজিক আচার অনুষ্ঠানগুলো রাজধানীবাসীসহ সারাদেশে পরিচয় করিয়ে দিতেই ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রের প্রধান কাজ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগুলোর গবেষণা ও সংরক্ষণ করা। তিনি বলেন, ঢাকা ও দেশের অন্যান্য এলাকায় বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায় পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবে এখানে সমবেত হয়। বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্যবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ, শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা আরও সুদৃঢ় হচ্ছে- যার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান শান্তি অব্যাহত থাকবে এবং দেশের উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করছি। সচিব মো.মশিউর রহমান এনডিসি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৈসাবি উৎসবের মাধ্যমে সকল পার্বত্যবাসী ও বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেন।

এসময় অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা পিপিএম (বার) উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সমাজের বর্ষবরণ উৎসব হলো বৈসাবি। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। এই উৎসবটি ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব, বৈসু বা বাইসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। বৈসাবি নামরকরণও করা হয়েছে এই তিনটি উৎসবের প্রথম অক্ষরগুলো নিয়ে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019